বইমেলায় আগামী প্রকাশনীর দুটো নতুন বই
এক বিপর্যস্ত সময়ের অক্ষরেখায় আবিষ্কৃত দুজন নারী- মিলি এবং বিস্তা বৌ- তাদের আলাদা দুটি অক্ষবিন্দু । পুতুলের কুচকাওয়াজ আর মাংসের স্থাপত্যের বাইরে এসে একটি জনগোষ্ঠীর লেখচিত্ৰ নথিভুক্ত হয়েছে এই উপন্যাসে । বিপন্নতা উপলক্ষ্য মাত্র; বস্তুত পাণ্ডুলিপি ।
দু’ভাগে বিভক্ত এই উপন্যাসে যাপিত জীবনের পুনরাবৃত্তি যেমন সত্য, তেমনি সত্য ইতিহাসের পুনর্বিন্যাস। সম্পূর্ণ মৌনতায় এখানে উদযাপিত হয়েছে ঘোষপাড়ার আলোর অপেরা । শিল্পের সমাপিকা ক্রিয়ার প্রশ্রয়ে এখানে বিন্যস্ত হয়েছে কতগুলো চরিত্রের রূপরেখা; তবে তা স্থানু ও অনড় নয়, পরমার্থ নয়, দ্রষ্টার অবস্থানসাপেক্ষ- মুক্তরেখা ও সম্প্রসারণশীল ।
সুতরাং মিনহাজের নাগরিক জীবন চৈতন্য বা ছাতু ঘোষের অন্তহীন মৃত্তিকামুখী ঘোষপাড়ার প্রতিনিধিত্বকারী উজ্জ্বলতা অতি অবশ্যই প্রতিনির্মাণের উৎস ও সম্ভাবনা । এ দুয়ের মাঝখানে ক্রিয়াশীল কী অসামান্যভাবেই না তপোক্লিষ্ট মানুষের করেছেন পরিপূরকতা ও সময়োত্তীর্ণতার অব্যৰ্থ সোপানশ্রেণি, বনসাই বুদ্ধিজীবিতা,হেমন্তের হলুদ ফসল আর বিদ্রোহের অচর্চিত কিছু বর্ণমালায় বড়ো প্রখর এই কাঁচা দুধের গন্ধ ।
বই পরিচিতি
অনাথ বালিকা ফুলবানু বৃদ্ধ হজমি ওয়ালার খোঁজে জয়বাংলা আচার স্বরে ঢুকে পড়ে। উঁচু তাক থেকে একটি বয়াম ধরার সময় ওর হাতটি ফসকে গেলে ভেতরের পুরনো দরজাটি খুলে যায় । বন্দুকের ক্যাট ক্যাট শব্দের সাথে বারুদের গন্ধের ঝাপটা এসে নাকে লাগে । ফুলবানু আবিষ্কার করে এটি একটি যাদুকরী দরজা ।
এর ভেতর দিয়ে সে অনায়াসে ১৯৭১ সালে যাতায়াত করতে পারে ; অন্য কেউ যেন না জানে; সেজন্য সে তা গোপন রাখে । যাদুর দরজার ওপারে, একাত্তরে, সে এক যুবকের দেখা পায় । মুক্তিযোদ্ধা যুবকটি ছিল শত্রুর হাতে বন্দি । পাকিস্তানিরা ওকে ভীষণ অত্যাচার করে । মুক্তি পেতে যুবকটি বালিকাটির সাহায্য চায় ।
সাহায্যের খোঁজে বেরিয়ে ফুলবানু পথে যুদ্ধ, পাকিস্তানিদের ধংসযজ্ঞ এবং অত্যাচারের নমুনা দেখে । কিন্তু ফিরে এসে দেখতে পায় আচার ঘরটির সাথে যাদুকরী দরজাটিও কেউ ভেঙে ফেলেছে । তাহলে কি ফুলবানু আর বন্দি যুবকের দেখা পাবে না? না পেলে তো কেউ ওর যাদুকরী ভ্রমনের কথা বিশ্বাস করবে না । তাই সেই মুক্তিযোদ্ধা যুবকের দেখা ওর পেতেই হবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ